কবুতর পালন করতে কাক অনেক বড় একটি সমস্যার কারণ।
কবুতরের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করে থাকে কাক। কাকের জন্য কবুতরের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। কাক যখন বার বার আসে কবুতর কে উরিয়ে দেয় এতে কবুতরের ফিটনেস নষ্ট হিয়ে যায় বা কবুতর ভয়ে তার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এমন কি কাক কবুতরের ঘরে ঢুকে কবুতরের বাচ্চা ও খেয়ে ফেলে।
আমরা যারা কবুতর পালন করি, তাদের জন্য এটি একটি অনেক বড় সমস্যা। এই সমস্যার কিছু সমাধান বা পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে আপনি এ সমস্যা হতে আপনার কবুতর গুলোকে বাঁচাতে পারবেন।
আগে জানতে হবে আপনাদের বাসায় বা ছাদে কাক কেন আস! কাক যেখানে তার খাবার খুঁজে পাবে বা তার খাবারের কোন প্রকার এলিমেন্ট খুঁজে পাবে কাক সেখানেই যাবে।
যেমন যেখানে পানি পাবে সেখানেই বসবে এর মানে ছাদে পাত্রতে পানি রাখলে কাক পানির জন্য আসবেই।
আমরা যারা কবুতর পালন করি তারা সবাই দেখা যায় সারাক্ষণ কবুতরের জন্য পানি দিয়ে রাখি এবং কাকের উপরে উরার সময় পানি চোখে পড়লে নিচে নেমে আসে এবং সেই স্থানটিকে তার সেন্টার হিসেবে ধরে রাখে।
কাক সব সময় কবুতরকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য থাকে না। কিন্তু কবুতর দেখা যায় কাকে ভয় পায়! কারণ কাক মাঝেমাঝে কবুতরের ঘরে ঢুকে বাচ্চা খেয়ে ফেলে, এইজন্য কবুতর অনেক বেশি ভয় পায়।
- আমাদের করণীয় কবুতর এর বাসায় বা ছাদে পানির পাত্র রাখা যাবে না। যেগুলো কাক খায় বা পছন্দ করে।
- অন্য আরেকটি পদ্ধতি হলো একটি মরা কাক নিতে হিবে, মরা কাকের পাক কবুতরের ঘরে বা ঘরের আশেপাশে বেঁধে রাখতে হবে। তাহলে আশা করা যায় কাকার আসবে না।
- অন্য আকটি সমাধান হলো আমরা ছোটবেলায় তীর বানিয়ে খেলাধুলা করতাম এরকম একি তীর কবুতরের ঘরে আকাশের দিকে তাক করে বেঁধে রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে এ পদ্ধতি সবসময় কার্যকর নয়।
কবুতর পালনে আরেকটি সমস্যা হল ইঁদুর
কমবেশি কবুতর ঘরে ইঁদুর প্রবেশ করে এবং ইঁদুর কবুতরের বাচ্চা গুলাকে অনেক ক্ষতি করে। এমনকি ইঁদুরের মুখে লালার মধ্যে অনেক ধরনের ভাইরাস থাকে। যদি এই ভাইরাস কবুতরের খাবারে মিশে যায় তাহলে কবুতরের ও এই ভাইরাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে আপনার কবুতর এর প্রাণহানি হতে পারে।
এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের যা করণীয়।
- যদি কবুতরের ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে ইঁদুর মারার ফাঁদ ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে অনেক রকমের ইঁদুর ধরার ফাঁদ পাওয়া যায়। এই ফাঁদগুলো ইঁদুর যাওয়া আসার রাস্তা দিয়ে রাখতে পারেন। এতে খুব সহজেই ইঁদুর ধরা পড়বে।
- ইঁদুর বেশিরভাগ সময় চলাফেরা করে। যদি আপনি রাত্রের বেলা লাইট অন রাখেন তাহলে ইন্দুরের চলাফেরা অনেকটাই কমে যাবে।
- তৃতীয় পদ্ধতি হল ইঁদুরের বিষ প্রয়োগ করা। তবে মনে রাখবেন এতে আপনার কবুতরের ও ক্ষতি হতে পারে। কারণ যদি কোনভাবে ইঁদুরের বিষ কবুতরের খাবারের চলে যায় তাহলে আপনার কবুতর প্রাণহানিও হতে পারে।
কবুতর পালনের মশার সমস্যা
মশার জন্য কবুতরের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে কয়েল বা ধুপ দেওয়ার পরও মশার সমস্যাটা সমাধান হয়না।
এই জন্য আমাদের করণীয় কি?
- মশার সমস্যার সমাধানের জন্য কবুতরের ঘরে ধুপ বা কয়েল জ্বালিয়ে দেওয়ার কিছু নিয়ম আছে। সঠিক নিয়মে যদি আপনি কয়েল বা ধুপ জ্বালিয়ে দেন তাহলে অবশ্যই আপনার সমস্যাটা দূর হতে পারে
যেমনঃ পুরো রাত্রের জন্য আমরা একটি কল জ্বালিয়ে দেই। কিন্তু এতে দেখা যায় যে একসময় কয়টি শেষ হওয়ার পর মশার উপদ্রব আবার বেড়ে যায়। সেজন্য আমাদের সন্ধ্যাবেলা একটি কয়েল ধরিয়ে দিতে হবে এবং রাত বারোটা বাজে একটি কয়েক ধরিয়ে দিতে হবে এতে সারারাত কবুতর থেকে দূরে থাকতে পারবে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ধুপ ব্যবহার করেন। এক দিনে যদি তিনবার ধুপ প্রয়োগ করেন তাহলে মশার উপদ্রব ১০০% কমে যাবে
- যাদের ঘরে মশার উপদ্রব টা একটু কম তারা কবুতরের ঘর বা কবুতর পালন করেন ওই ট্রেতে ন্যাপথলিন রাখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন ন্যাপথলিন কবুতরের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। যাতে কবুতরের কোন ক্ষতি না হয়
0 মন্তব্যসমূহ